Monday, March 29, 2021

ব্লাড গ্রুপিং নিয়ে কিছু বেসিক ও কথা

#ব্লাড_গ্রুপিং_বৃত্তান্ত।



তোমার বন্ধু মেহেদী। প্রফুল্ল চেহারা হাসিখুশি ছেলে। বিষন্নতা তার ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। কান্নাকাটি দূরের কথা, কখনো গোমড়ামুখেও দেখা যায় না তাকে। সেই মেহেদী এক সন্ধ্যায় তোমাকে ফোন দিয়ে কাঁদোকাঁদো গলায় বলল, 'বাবা ভীষণ অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি। বড়সড় স্ট্রোক করেছে। ডাক্তার রাজীব হোসাইনন বলেছেন, মেজর একটা অপারেশন করতে হবে। সে জন্য বেশ কয়েক ব্যাগ রক্ত লাগবে। বাবার রক্তের গ্রুপ A পজেটিভ। তোর রক্তের গ্রুপও তো A পজেটিভ। তুই কি পারবি রক্ত দিতে?'

প্রাণপ্রিয় বন্ধুর এই মহাবিপর্যয়ের দিনে তুমি তার পাশে দাঁড়াতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে গেলে হাসপাতলে। মেহেদীর কাঁধে হাত রেখে সান্তনা দিলে। তারপর গেলে রক্ত দিতে। 

গল্পের এই পর্যায়ে এসে তোমার মনে কি প্রশ্ন জেগেছে যে, কেন রক্ত দিতে হলে রক্তদাতা এবং গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ একই হতে হবে? অন্য গ্রুপের রক্ত কেন দেওয়া যায় না? দিলে কি সমস্যা হবে? তোমার রক্তের গ্রুপ যে A পজেটিভ এটাই বা কিভাবে জানা গেল? 

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর নিয়েই এই লেখাটি।  

প্রথমেই আসি রক্তের গ্রুপ বা ব্লাড গ্রুপিংয়ের ব্যাপারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রধানত দুই ধরনের ব্লাড গ্রুপিং সিস্টেম প্রচলিত আছে- ABO ব্লাড গ্রুপ আর Rh ব্লাড গ্রুপ। ABO ব্লাড গ্রুপে আছে চার ধরনের ব্লাড- A, B, AB, আর O। Rh ব্লাড গ্রুপে আছে দুই ধরনের ব্লাড- Rh পজিটিভ আর Rh নেগেটিভ। আমাদের গল্পটিতে তোমার রক্তের গ্রুপ A পজেটিভ (নিজের ব্লাড গ্রুপও A পজিটিভ কিনা!)। তাহলে তোমার রক্তের গ্রুপের প্রথম অংশটি জানা যাবে ABO ব্লাড গ্রুপিং সিস্টেম থেকে। অর্থাৎ কারো রক্ত কোন গ্রুপের- A, B, AB নাকি O গ্রুপ তা জানা যায় ABO ব্লাড গ্রুপিং সিস্টেম থেকে। আর Rh ব্লাড গ্রুপিং সিস্টেম থেকে জানা যাবে তোমার রক্তের গ্রুপের দ্বিতীয় অংশটি। অর্থাৎ কেউ শরীরে পজেটিভ না নেগেটিভ রক্ত বহন করছে তা জানা যায় Rh ব্লাড গ্রুপিং সিস্টেম থেকে। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয় কিভাবে?

রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয় রক্তের লোহিতকণিকার (RBC) আবরণীতে থাকা এন্টিজেনের উপস্থিতি থেকে। রক্তের গ্রুপ A হলে RBC তে a এন্টিজেন রক্তের গ্রুপ B হলে b এন্টিজেন আর রক্তের গ্রুপ AB হলে a, b দুইটা এন্টিজেনই থাকবে। আর রক্তের গ্রুপ যদি O হয় তাহলে কোনো এন্টিজেনই থাকবে না। আর RBC র আবরণীতে যদি Rh এন্টিজেন থাকে তাহলে রক্ত পজেটিভ, না থাকলে নেগেটিভ। 

এখন তোমার নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে রক্তে অ্যান্টিজেন ব্যাটার থাকা না থাকাটাই কি সব? বুঝবো কি করে কোন এন্টিজেন লুকিয়ে আছে আমার RBC র পর্দার আড়ালে?

হুম, ভালো প্রশ্ন। কোন এন্টিজেন আছে বা আদৌ আছে কিনা এটা বোঝা যায় এন্টিজেনের জাতশত্রু এন্টিবডিকে ধরে নিয়ে আসলে। এইজন্য তোমার আঙুলে আলতোভাবে ফুটো করে একটা স্লাইডে তিন ফোঁটা রক্ত নেয়া হবে। তাতে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ফোঁটোতে যোগ করা হবে যথাক্রমে এন্টিবডি Anti-A, Anti-B, Anti-D। তখন যদি এন্টিজেন-এন্টিবডি বিক্রিয়া হয় অর্থাৎ এন্টিবডি যদি তার দোস্ত (পড়ুন শত্রু) এন্টিজেন কে চিনতে পেরে যুদ্ধ বাধিয়ে বসে তাহলে সব RBC রা একজোট হয়ে বিদ্রোহ করে। RBC দের একসাথে হওয়ার এই ঘটনাকে বলে Clotting বা রক্ত জমাট বাঁধা। জমাট বাঁধা রক্ত দেখলে মনে হয় এটি লাল আর হলুদ দুইটা অংশে বিভক্ত হয়ে গেছে। লাল অংশটি লোহিত রক্তকণিকা বা RBC আর হলুদ অংশটি হচ্ছে সেরাম। এন্টিবডি যোগ করার পর বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটতে পারে-

ঘটনা-১: যদি Anti-A যোগ করা রক্তের ফোঁটা লাল-হলুদ অংশে বিভক্ত হয় তাহলে বুঝতে হবে তোমার রক্তের গ্রুপ A। 
ঘটনা-২: যদি Anti-B যোগ করা রক্তের ফোঁটাটি জমাট বাঁধে তাহলে তোমার রক্তের গ্রুপ B। 
ঘটনা-৩: যদি দুটো রক্তের ফোঁটাই জমাট বাঁধে তাহলে তোমার রক্তে AB গ্রুপের। 
ঘটনা-৪: যদি দুটোর কোনটাই জমাট না বাঁধে তাহলে তোমার রক্তের গ্রুপ O।

এখন, অবশিষ্ট থাকল তৃতীয় রক্তবিন্দু। এতে যোগ করা হয়েছে Anti-D। এক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটে। যদি রক্ত জমাট বাঁধে তাহলে রক্তের গ্রুপ Rh পজেটিভ, না বাঁধলে Rh নেগেটিভ। 

এখানে আরো কিছু মজার ব্যাপার আছে। তোমার এক বড় আপু অহনার রক্তের গ্রুপ O। অহনা সবাইকে রক্ত দিতে পারবে। কারণ, O গ্রুপের রক্তে কোনো এন্টিজেন থাকে না। তাই শরীরে O গ্রুপের রক্ত দেয়া হলে এন্টিবডি এসে ঝামেলা করার কোন সুযোগই পাবে না। এজন্য O (নেগেটিভ) ব্লাড গ্রুপকে বলা হয় Universal Donor। আবার তোমার আরেক বন্ধু তিতিরের রক্তের গ্রুপ AB। সে সব গ্রুপের রক্ত নিতে পারবে। এজন্য AB ব্লাড গ্রুপকে বলা হয় Universal Receiver। 

এখন সেই মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন, কেন তোমাকে মেহেদী তার বাবার সাথে তোমার ব্লাড গ্রুপ মেলে বলে তোমাকে রক্ত দিতে বলল? অন্য গ্রুপের রক্ত দিলে কি হবে?

যদি দাতার ব্লাড গ্রুপ গ্রহীতার ব্লাড গ্রুপের সাথে না মেলে তাহলে নয় নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখা দেবে। মুরগির খোয়ার আশ্রয়কেন্দ্র বানালেও বিপদ কাটবে না। আমাদের গল্পে, মেহেদীর বাবার রক্তের গ্রুপ A পজেটিভ। এখন তাকে যদি মেহেদীর বাবার বন্ধুর B পজিটিভ রক্ত দেওয়া হয় তাহলে মেহেদীর বাবার বন্ধুর রক্ত মেহেদীর বাবার রক্তপ্রবাহে মিশ্রিত হবার সাথে সাথে মেহেদীর বাবার শরীর কাঁপাকাঁপি শুরু করে দেবে, শরীরের অস্থিরতা ভর করবে, বমি বমি ভাব দেখা দেবে, তিনি বুকে-পিঠে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করবেন, তার শ্বাস-প্রশ্বাস ও পালস রেট বেড়ে যাবে, রক্তচাপ কমে যাবে। কিছুদিন পর আরও কিছু সমস্যা দেখা দেবে। যেমন- তার লোহিত রক্তকণিকা ভাঙতে শুরু করবে (Hemolysis)। ফলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যাবে এবং তিনি জণ্ডিসে আক্রান্ত হবেন। এরপর তার কিডনি বিদ্রোহ করবে এবং সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে (Acute Renal Shutdown)। ফলে এক সপ্তাহের মাথায় তিনি মারা যাবেন। বুঝতেই পারছ কতটা ভয়াবহ ব্যাপার। দাতা ও গ্রহীতার রক্ত যদি একই গ্রুপের হয় তাহলেও এত নিশ্চিন্ত হওয়ার কিছু নেই। বিপদ ঘটতে পারে সেক্ষেত্রেও। এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক বিপদ হিসেবে দেখা দিতে পারে জ্বর, এলার্জি, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রভৃতি। প্রলম্বিত বিপদ হিসেবে রক্তে অবাধ অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে ভয়াবহ কিছু রোগজীবাণুর (যেমন- ভাইরাল হেপাটাইটিস, এইডস, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর)। তবে আশার কথা এই বিপদগুলো ঠেকানো যায় খুব সহজেই। এজন্য রক্ত দেওয়ার আগে কিছু টেস্ট করাতে হয়।

১. ক্রস ম্যচিং: দাতার রক্ত গ্রহীতার শরীরে প্রদান করা হলে কোন সমস্যা হবে কিনা তা জানা যায় ক্রস ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে। এটি একটি মজার টেস্ট। এতে দাতার লোহিত রক্তকণিকা (এন্টিজেন) আর গ্রহীতার সেরাম (এন্টিবডি) মিলিয়ে দেখা হয় রক্ত জমাট বাঁধে কিনা। জমাট বাঁধলে রক্ত দেওয়া যাবে না, না বাঁধলে দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে দাতার সেরামকে খুব একটা পাত্তা দেওয়া হয় না কারণ গ্রহীতার সেরামের পরিমাণ বেশি থাকে।
২. স্ক্রিনিং: দাতার রক্তে রোগজীবাণু আছে কিনা পরীক্ষা করা হয়। ▪◾

[যতদূর মনে পড়ে, লেখাটি ব্যাপন '১৮ এর মে-জুন সংখ্যার; সাবরিনা আপুর লেখা। লেখাটি ভালো লাগায় তখন এই অংশটুকু কোট করে রেখেছিলাম। আজ দুপুরে একাডেমিক ক্লাস করায় এটার কথা মনে পড়ে। পরে অসংখ্য নোটের সিন্ধু সেঁচে খুঁজে বের করে শেয়ার করলাম। ঈষৎ পরিমার্জিত এবং পরিবর্ধিত।]

*শব্দটিকাঃ
Hemolysis: "hemo" (গ্রীক haima হতে আগত যার অর্থ blood/রক্ত) + "lysis" (গ্রীক lusis থেকে আগত যার অর্থ disintegration of cells/কোষের বিভাজন)। 
লোহিত রক্তকণিকা বিভাজিত বা ভেঙে যাওয়ার ফলে হিমোগ্লোবিনের প্লাজমায় বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়াই হলো Hemolysis।

-অনিক আব্দুল্লাহ।

প্রশ্ন যা জানা জরুরী

#BHQ
What is the difference between Gametogenic meiosis, Sporogenic meiosis and Zygotic meiosis?

উত্তর 
১। গ্যামিটোজেনিক মায়োসিসঃ যে মায়োসিসের মাধ্যমে গ্যামিট উৎপন্ন হবে। এটা ঘটবে জনন মাতৃকোষে। ডিপ্লয়েড জীবে।
২। স্পোরোজেনিক মায়োসিসঃ অনুন্নত জীবে (শৈবাল, ছত্রাক) ঘটবে। এক্ষেত্রে উৎপন্ন স্পোর হবে হ্যাপ্লয়েড।
৩। জাইগোটিক মায়োসিসঃ জাইগোটে ঘটে। এটা ঘটবে অনুন্নত জীবে। যদি দুটো হ্যাপ্লয়েড স্পোর জাইগোট গঠন করে ডিপ্লয়েড দশা প্রাপ্ত হবে। মূল উদ্ভিদ হ্যাপ্লয়েড হওয়ায় জাইগোটে অবশ্যই মায়োসিস ঘটতে হয়।

ড রাজীব হোসাইন সরকার 

প্রশ্ন ও উত্তর


#BHQ 
 প্রশ্ন: শুক্রধানী কী?

উত্তর:
ধানী অর্থ যে ধারণ করে। তেমনই শুক্রধানী অর্থ যে অঙ্গ শুক্রাণুকে ধারণ করে। শুক্রাণুকে ধারণ করবে স্ত্রী ঘাসফড়িং। লজিক্যালি স্ত্রী ঘাসফড়িং এই অঙ্গটি ধারণ করবে

কিছু অজানা প্রশ্ন

#BHQ
1)অরীয় ক্লিভেজ, দ্বিপার্শীয় ক্লিভেজ, সর্পিল ক্লিভেজ বলতে আসলে কী বুঝায়?

2)অনির্দিষ্ট ক্লিভেজ ও নির্দিষ্ট ক্লিভেজ কী?


3 সরিসৃপ শ্রেণির ভ্রূণের পরিস্ফুটনের সময় বহিঃভ্রূণীয় ঝিল্লি সৃষ্টি হয় ফলে কোনো লার্ভা দশা নেই। এর কারণ কী?

4. কর্ডেটের খণ্ডকায়ন দেহপ্রাচীর, মস্তিষ্ক ও লেজে সীমাবদ্ধ থাকে, সিলোম পর্যন্ত পৌঁছায় না; বলতে কী বুঝানো হয়েছে? 

5. একাইনোডার্মাটার প্রানীরা কেন সবাই সামুদ্রিক। অসমোরেগুলেশন এর সাথে এর সম্পর্ক কী?

6. অরীয় ক্লিভেজ, দ্বিপার্শীয় ক্লিভেজ ও সর্পিল ক্লিভেজ বলতে কী বোঝায়?

7.
 Mitosis এর Prophase ধাপে কেন Nuclear membrane ও Nucleolus এর বিলুপ্তি ঘটে? Cdk এর ফসফোরাইলেশনের সাথে এর সম্পর্ক কী?
 ক্রোমোজোম সূত্রের সংকোচন, কাণ্ডদেহের প্রসারণ এর কারণে কেন Anaphase ধাপে কেন অপত্য ক্রোমোজোমের মেরুমুখী চলন ঘটে?




উত্তর ::::;; to be continued ❤️🙏

প্রশ্ন পর্ব

#BHQ
গবলেট কোষ কোথায় বেশি থাকে? ক্ষুদ্রান্ত্র/বৃহদন্ত্র? 
ক্ষুদ্রান্ত্র,বৃহদন্ত্র ও শ্বাসনালি ব্যতিত আর কোথাও কি গবলেট কোষ থাকে? যকৃতে থাকে কি? থাকলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই 🙂


উত্তর

–বৃহদান্ত্রে বেশি থাকে..বইয়ে যা পড়লাম তা থেকে বলা যায় বৃহদান্ত্র,ক্ষুদ্রান্ত্র আর শ্বাসনালিতে থাকে

_ এইটুকু তো আমিও জানি ভাই... যকৃতের ব্যাপারে শিউর হতে চাচ্ছিলাম 😃

– যকৃতে গবলেট কোষ থাকা নিয়ে আজ পর্যন্ত পড়লাম না..যতটুক জানি যকৃতে গবলেট কোষ নাই🙂

রাজীব ভাই নাকি বলেছিল অল্প পরিমাণে থাকে 🙃

প্রশ্ন পর্ব (3)

1. হাসান স্যারের বইতে বলেছে, মাইটোসিসের মাধ্যমে কিছু কিছু কোষ যেমনঃ RBC, কর্নিয়ার বাইরের কোষ এর পুনরুৎপাদন ঘটে। 
কিন্তু RBC তো অস্থিমজ্জা থেকে উৎপণ্ণ হয়। আর পরিণত RBC তো বিভাজিত হয় না। বইয়ের লাইনটি দ্বারা কী বুঝিয়েছে?

2. ক্রোমোজোমের সংখ্যা ধ্রুব রাখা ও ক্রোমোজমের সমতা রক্ষা করা, এই দুটো শব্দের মধ্যে পার্থক্য কী?

3. Diploid জীবে Meiosis ঘটলেও Haploid জীবে কেন কখনো Meiosis ঘটে না? ১/২ n কেন হয় না কখনো? কেন শুধু 2n ক্রোমোজোম বিশিষ্ট জীবদেহে Meiosis ঘটে?

4. Diplotene উপপর্যায়ে দুই বা ততোধিক বাহু পরস্পর আবর্তনের ফলে পাশাপাশি লুপ 90 ডিগ্রি কোণ করে অবস্থান করে।দুই বা ততোধিক বাহু পরস্পর আবর্তন বলতে কী বুঝিয়েছে?



উত্তর 



1 লজিক
RBC এর পুনরুৎপত্তির কথা বলে হলে ব্যাখ্যা টা এমন হবে!

অস্থিমজ্জার স্টেম কোষ থেকে কিন্তু উৎপন্ন হয়েছি এরিথ্রোব্লাস্ট

ব্লাস্ট মানে অপরিনিত কোষ। এতে নিউক্লিয়াস থাকে, ফলে বিভাজিত হতে পারে,, এই এরিথ্রোব্লাস্ট মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে এরিথ্রোসাইট অর্থাৎ RBC তৈরী করছে!

তো RBC কিন্তু ২ বার ই তৈরী হওয়া হচ্ছে,, একবার অপরিনত আর একবার পরিনত। যা পুনরুৎপত্তি বলতেই পারি!


2 লজিক

 Erytroblast থেকে তো Exocytosis প্রক্রিয়ায় Nucleus সহ অন্যান্য উপাদান বেরিয়ে যায়। ফলে Erythrocyte উৎপণ্ণ হয়। এখানে Mitosis কীভাবে হলো??🤔


— কোষ বিভাজন ব্যাতিত কোন কিছুই সম্ভব নাহ। বিভাজন হবার সময় নিউক্লিয়াস বের হয়ে গেছে



3 লজিক


ডিপ্লয়েড মানে 2n একে আপনি মিয়োসিস করতে পারবেন। মিয়োসিস মানে হাল্ফ হয়ে যাবে!
2n থেকে হয়ে যাবে n ফলে 
এতে করে বাবার 2n দেহ থেকে আসবে একটা n

আবার মায়ের 2n দেহ থেকে আসবে একটা n
২ টা n মিলিত হয়ে তৈরী হচ্ছে আপনার দেহ n+n=2n
আবার এভাবেই আপনার আর আপনার হাসবেন্ড এর দেহ থেকে একটা করে n আপনাদের পরবর্তী প্রজন্ম তে চলে যাবে। এজন্য ডিপ্লয়েড জীবনে মিয়োসিস সম্ভব। 

কিন্তু যদি হ্যাপ্লয়েড বা nজীবে মিয়োসিস করতে যান তাহলে n কে হাল্ফ করলে হইয়া যাবে 1/2n 

1/2 n মানে বাবা কিংবা মায়ের এক সেট ক্রোমোসোমের অর্ধেক।
সেট অর্ধেক করলে, অর্ধেক জিন মিসিং হবে। সেসব জিন ছাড়া তো আপনি কখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আছে যেগুলো তৈরিই করতে পারবেন না।




বিশেষ ইনফো 

 1/2 n মানে বাবা কিংবা মায়ের এক সেট ক্রোমোসোমের অর্ধেক।
সেট অর্ধেক করলে, অর্ধেক জিন মিসিং হবে। সেসব জিন ছাড়া তো আপনি কখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আছে যেগুলো তৈরিই করতে পারবেন না।


লজিক 3


২)ক্রমজোমের সং্খায় ধ্রুব রাখা মানে অপরিবর্তিত রাখা অর্থাৎ মাতৃকোষের সমপরিমাণ।

–তাহলে ক্রোমোজোম এর সমতা রক্ষা করা মানে কী?

–সমতা রক্ষা আর ধ্রুন রালহা পরস্পর সমার্থক।
দুই একই বিষয় বুঝিয়েছে।

– কিন্তু বইতে তো আলাদাভাবে দেখিয়েছে। ধ্রুব রাখে Meiosis আর সমতা রক্ষা করে Mitosis🤔
 
—মিয়োসিস এ n সংখ্যক ক্রোমোজোম যুক্ত জনন কোষ নিষেকের ফলে মিলিত হয়ে 2n বা ডিপ্লয়েড ভ্রুন তৈরি করে,এটাই সমতা রক্ষা।
অন্যদিকে,মাইটোসিস এ ক্রোমোজোম সংখ্যা অপরিবর্তিত (ধ্রুব) থাকে।
এটাই বোঝানো হয়েছে।

প্রশ্ন পর্ব 3


1.মাইটোসিসের Interphase এ DNA Replication এর প্রয়োজন হয় কিন্তু মায়োসিসে কেন DNA প্রতিরূপ হয় না?🤔 মায়োসিস-১ বা মায়োসিস-২ দুটোর একটিতেও কী DNA Replication এর প্রয়োজন নেই??

2. মায়োসিস প্রক্রিয়ায় সাইটোকাইনেসিস-১ টাকেই কেন ইন্টারকাইনেসিস বলেছে কেন? ইন্টারকাইনেসিসই কী ইন্টারফেজ???



উত্তর


। মিওসিসের ১ এর প্রোফেজ ১ এর শুরুতেই শুধু প্রতিলিপন ঘটবে। এটা আবুল হাসানের বইতেই আছে। প্রোফেজ ১ অংশ দেখেন 

২)ইন্টারকাইনেসিস বলা হয় মূলত এই কারণে যে কোষে নিউক্লিয়াসের আরো এক ধাপ বিভাজন বাকি আছে। তাই এই ধাপে বিভাজনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও RNA সংশ্লেষিত হয় কিন্তু কোনো প্রকার DNA রেপ্লিকেশন হয়না। তাই এটাকে ইন্টারফেজ বলা যাবে না 

তাছাড়া ইন্টারফেজ হলো একটি কোষের বিভাজন কমপ্লিট শেষ এরপর আবার আরেকটি নতুন বিভাজন শুরু হবে। এই দুটোর মধ্যবর্তী অবস্থা। এক্ষেত্রে অবশ্যই Dna প্রতিলিপন হবে। 

আর ইন্টারকাইনেসিস হলো সমগ্র বিভাজনের প্রথম ধাপ শেষে দ্বিতীয় ধাপের জন্য প্রস্তুতি। 


লজিক

 Interkinesis এ কেন DNA Replication হয় না?


কাউন্টার অ্যান্ড আনসার 

ইন্টারকাইনেসিস মানে মধ্যবর্তী অবস্থা। এই অবস্থায় যেহেতু ক্যারিওকাইনেসিস এ উৎপন্ন দুইটি নিউক্লিয়াস আছে সেগুলোকে ঘিরে সাইটোপ্লাজমের বন্টন করতে হয়। যেহেতু ইন্টারকাইনেসিসে তা ঘটে তাই এটাকে সাইটকাইনেসিস ১ ও বলা হয়।

আর সাইটকাইনেসিস ২ কে দেখেন ইন্টারকাইনেসিস ২ বলছে না কারন এখানে স্পষ্টতই বিভাজন কমপ্লিট হয়ে গেছে। তাই এখানে নিরবিচ্ছিন্ন পরবর্তী আর কিছুই নেই। এজন্য মিওসিসের এটাই শেষ ধাপ। 

কনসেপ্ট ক্লিয়ারিং

ভিরয়েডও রোগ সৃষ্টি করে।
ভিরিয়ন, প্রিয়ন, ভিরয়েড সবাই ON.
একজনের নোটে দেখলাম, ON নাই তাই রোগ সৃষ্টি করে না।

ভিরয়েড নারিকেল গাছের "ক্যাডাং রোগ" সৃষ্টি করে।





স্পোর+বহুকোষী কী?
গ্যামিট+বহুকোষী কী?

বহুকোষী উদ্ভিদ+স্পোর উৎপন্ন করলে সেই সময়টাকে আমরা বলবো- স্পোরোফাইটিক দশা।

বহুকোষী উদ্ভিদ+ গ্যামিট তৈরি করলে সেই দশাকে বলবো- গ্যামিটোফাইটিক দশা।

is it clear?

ডা.রাজীব হোসাইন সরকার ©™

বেসিক স্নায়ুতন্ত্র


Encephalitis (এনকেফালাইটিস/এনসেফালাইটিস)

En: Endo/ In/Within (ভেতরে)

Ceohalo: Head/Brain

It is: Inflammation / প্রদাহ

পুরো অর্থ মাথার ভেতরে (মস্তিষ্ক) প্রদাহ।

প্রদাহ: জীবাণুর উপস্থিতির কারণে কতিপয় ঘটনা ( লাল হওয়া, ফুলে যাওয়া, ব্যাথা হওয়া ইত্যাদি)

ড রাজীব হোসাইন সরকার ©™

কিছু প্রশ্ন ও উত্তর (পর্ব :২)

প্রশ্ন এসেছিলঃ
Embryogenesis কী?
Parthenogenesis কী?
Archenteron কী?

প্রথম শব্দঃ Embrogenesis
Embryo: Fetus (ভ্রুণ)
Genesis: Process (তৈরির প্রক্রিয়া)
Embryogenesis: ভ্রুণ তৈরির প্রক্রিয়া।

আরো ডিপঃ
Em: in (ভেতর)
Bryo: Grow (বৃদ্ধি)
Genesis: Process (তৈরির প্রক্রিয়া)
ভ্রুণ (Embryo) তো জীবের শরীরের ভেতরেই (Em:in) তৈরি হয় বা বৃদ্ধি (bryo:Grow) পায়।

যদি জিজ্ঞাসা করিঃ Embryogenic Cell কী?
উত্তর হবেঃ
Embryo: Fetus
Genic: যে Genesis বা তৈরি করে।
Cell: কোষ
পুরো অর্থ হলোঃ যে কোষ ফিটাস বা ভ্রুণ তোইরি করে।
২য় শব্দঃ Parthenogenesis
Partheno: Virgin (অবিবাহিত মা বা বালিকা)
Genesis: তৈরির প্রক্রিয়া।
আক্ষরিক অনুবাদঃ অবিবাহিত অবস্থাতেই সন্তান ধারণ (শুক্রাণূ ছাড়াই)।
ভাবানুবাদঃ শুক্রাণু ছাড়াই ডিম্বানু নিষিক্ত হওয়া ( শুক্রাণু ছাড়া ডিম্বানু নিষিক্ত হতে পারে। এভাবেও নতুন উদ্ভিদ তৈরি হয়। এমনকী কিছু নিম্নপ্রজাতির প্রাণীও এভাবে জন্ম নেয় )

যদি প্রশ্ন করি, Parthenocarpy কী?
Partheno: Virgin
Carp: Fruit
উত্তরঃ নিষেক ছাড়াই ফল তৈরি করা।
আবার যদি জিজ্ঞাসা করি, Parthenocarpic ফল কী?
উত্তরঃ নিষেক ছাড়া যে ফল তৈরি করা হয়েছে।

সামান্য ইতিহাসের ছোয়াঃ
Parthenogenesis অর্থ ভার্জিন অবস্থাতেও সন্তান তৈরির প্রক্রিয়া। (ইসলাম ধর্মমতেঃ মরিয়ম ও ইসা আ. এর কথা ভাবো। যেখানে পুরুষের শুক্রাণু ছাড়াই ইসা আ. এর জন্মের কথা বলা হয়েছে)।

গ্রীক রূপকথায়ঃ পারথেনন (Parthenon) ছিল দেবী। কুমারী বা ভার্জিন দেবী। Parthenon শব্দটা সেখান থেকেই এসেছে।

নোটঃ বায়োলজির অধিকাংশ টার্মই এসেছে গ্রীক রূপকথা ও ল্যাটিন শব্দ থেকে।

৩য় শব্দঃ Archenteron
Arkhe/Arch: Begining (বাংলা অর্থ হবেঃ প্রাচীন বা একেবারের শুরুর দিকে)
Enteron: Gut (অন্ত্র/পরিপাকনালি)
Archenteron অর্থ জাইগোটের (শুক্রাণু ও ডিম্বানুর মিলনের পর যে কোষ তৈরি হয়) বিভাজন ঘটলে অনেকগুলো কোষ নিয়ে একটা পিন্ডাকার মাংসপিন্ড পাওয়া যায়। এর ভেতরে একটা পরিপাকনালী বা পরিপাকগহবর তৈরি হয়। যেহেতু জীবনের একেবারে শুরুতে এই পরিপাক গহ্বর তৈরি হয় তাই একে প্রারম্ভিব বা প্রাচীন বা প্রারম্বের পরিপাকনালি বা পরিপাক গহ্বর বলে।
এটা কিন্তু পরে এমন থাকে না। আমাদের বর্তমান দেহে যে পরিপাকনালি আছে এটাই হলো আর্কেন্টেরন (প্রারম্ভিক পরিপাকনালি) থেকে আসা পরিপাকনালি।

ইজ ইট ক্লিয়ার?

-ডা. রাজীব হোসাইন সরকার

কিছু জীববিজ্ঞানের প্রশ্ন ও উত্তর

কিছু আসা প্রশ্ন (চিত্রসহ উত্তর)

মানুষের চোখে থাকেঃ কোরয়েড
ম্যান্ডিবল, আলনায় থাকেঃ করনয়েড প্রসেস
স্ক্যাপুলায় থাকেঃ কোরাকয়েড প্রসেস।

এগুলো কী জিনিস?

১। তোমরা জানো, চোখ তিন-স্তরী গোলক। একেবারে বাইরেরটা হলোঃ স্ক্লেরা। মাঝেরটা কোরয়েড। ভেতরেরটা রেটিনা। এবার আসি শব্দ বিশ্লেষশণে-
Choroid= Chorion+ oid
কোরয়েড (Choroid) অর্থ কোরিয়নের (Chorion) মতো (-oid)।

কোরিয়ন কী?

সরীসৃপ, পাখি কিংবা স্তন্যপায়ী মানুষের ভ্রুণের কথা ভাবো। ভ্রুণ থাকে একটা থলির ভেতরে। সেই থলির নাম- ভ্রুণথলি।
ভ্রুণথলির একেবারের বাইরের আবরণের নাম- কোরিয়ন। কোরিয়ন ভ্রুণকে রক্ষা করে বাইরের আঘাত থেকে। আর প্রয়োজনে খাবার দেয়, এবং ভ্রুনের বর্জ্য দূর করে।
খেয়াল করো- চোখের কোরয়েড কিন্তু কোরিয়নের মতোই কাজ করে। কোরয়েডে রক্তনালী আছে। ফলে কোরয়েড চোখের অঙ্গসমুহকে পুষ্টি/খাবার দেয়, বর্জ্য দূর করে। আবার ভেতরের অঙ্গগুলোকে রক্ষাও করছে।
যেহেতু কোরিয়নের মতো (Looks alike Chorion = Chorio+ oid) কাজ করে তাই চোখের কোরিয়নকে বলেঃ কোরয়েড (কোরয়েড অর্থ কোরিয়নের মতো)।

এবার আসি- ম্যান্ডিবল (নিচের চোয়াল) ও আলনা (অগ্রবাহুর অস্থি) তে থাকে- করনয়েড প্রসেস। করনয়েড প্রসেস কী জিনিস।

করনয়েড প্রসেস (Coronoid Process)
Corone অর্থ নব/ত্রিকোনাকার কিছু (পিরামিডের মাথার মতো কিছুটা)
oid অর্থ মতো (Looks alike)
Process অর্থ উদগত অঙ্গ (যেকেনো একটা বস্তির শরীর থেকে যদি কিছু কুড়িওর মতো বের হয়)।
করনয়েড প্রসেস শব্দটার পূর্ণ অর্থঃ নব বা ত্রিকোনাকার এর মতো উদগত অংশ।

স্ক্যাপুলার কোরাকয়েড প্রসেস কী?
Coracoid Process
Corax: Raven (কাক/ ভাবানুবাদ করলে হবেঃ কাকের ঠোট)
Oid: looks alike (মতো)
Process: উদগত অংশ

তাহলে, কোরাকয়েড প্রসেস অর্থ হলোঃ স্ক্যাপুলার একটি উদগত অংশ যা দেখতে কাকের ঠোটের মতো 

-ডা. রাজীব হোসাইন সরকার

প্রতিবর্ত ক্রিয়া

প্রতিবর্ত ক্রিয়া(Reflex Action):

কোনও গরম বস্তুতে আচমকা হাত ঠেকে গেলে, সঙ্গে সঙ্গে হাতটির সরে আসা হল প্রতিবর্ত ক্রিয়ার একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ। কিন্তুু এটি কিভাবে ঘটে?? 
চলুন জেনে আসা যাক👩‍🏫

আমাদের শরীরের সমস্ত ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের মস্তিষ্কের সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম বা ব্রেইন(Brain) কিন্তু কিছু ক্রিয়াকলাপ তাৎক্ষণিক এবং মস্তিষ্ক(Brain) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয় বরং সুষুম্নাকাণ্ড(Spinal Cord) দ্বারা নিয়ন্ত্রিত,এদেরকে বলা হয় প্রতিবর্ত ক্রিয়া।

What is Spinal Cord?
[Spinal Cord হলো মেরুদণ্ডের ভেতরে অবস্থিত দীর্ঘ, সরু, নলাকার স্নায়ুগুচ্ছ]

💭How does a reflex action work???

A simple reflex arc happens if we accidentally touch something hot.Then Receptor in the skin detects a stimulous and send signals along a sensory neuron to our spinal cord..

We know that the brain as a central computer controls all our body's function but in the reflex action it doesn’t wait for the brain to give us command. If we had to wait for the brain to think about it & then decide what to do,In that time the damage would have already been done.
Because this is a dangerous situation for our survival,We need immediate action.And in such cases,it is not wait for our brain to response🧠

মানব শরীর তত্ব

Article:2 ভ্যাসেকটমি কী?ভ্যাসেকটমির পর কী হবে? এটা জানতে হলে প্রথমে একটু বেসিকটা জানতে হবে।কী বেসিক? দেখো নামটি হচ্ছে ভ্যাসেকটম...