Showing posts with label ASK BH. Show all posts
Showing posts with label ASK BH. Show all posts

Monday, March 29, 2021

কিছু অজানা প্রশ্ন

#BHQ

1. Amitosis কে কেন প্রত্যক্ষ ও Mitosis কে কেন পরোক্ষ কোষ বিভাজন বলে?

2.Bacteria এর দ্বিভাজনকে কেন সরাসরি Amitosis না বলে Amitosis এর মতো বলেছে?

3. প্রোফেজ ধাপে কেন Nuclear membrane ও Nucleolus এর বিলুপ্তি ঘটে? Cdk এর ফসফোরাইলেশনের সাথে এর সম্পর্ক কী?

4.Anaphase ধাপে কেন অপত্য ক্রোমোজোমের মেরুমুখী চলন ঘটে?
5. কোষ বিভাজনে Actin ও Myosin প্রোটিনের ভূমিকা কী?


উত্তর
1 comming soon

2.আমাইটোসিসের শর্ত হচ্ছে নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজম দুটোরই বিভাজন হতে হবে।
কিন্তু আমরা জানি যে ব্যাকটেরিয়া আদিকোষী বা প্রোক্যারিওটিক অর্থাৎ ব্যাকটেরিয়ার কোনো সুগঠিত নিউক্লিয়াস নেই, তাই ব্যাকটেরিয়ার আমাইটোসিস প্রকৃত আমাইটোসিসের মতো নয় যেহেতু এখানে শুধু সাইটোপ্লাজমের বিভাজন ঘটার মাধ্যমে ১টি  মাতৃকোষ থেকে ২টি অপত্য কোষের সৃষ্টি হয়।

3 coming soon
4coming soon

ব্যাকটেরিয়া নিয়ে প্রশ্ন

#BHQ
ব্যাকটেরিয়ার সাধারণ বৈশিষ্ট তে বলা হয়েছেঃ এরা ব্যাসিক রং ধারন করে (গ্রাম পজিটিভ অথবা গ্রাম নেগেটিভ) এইটা দিয়ে কী বোঝানো হইছে?

উত্তর

যেসকল ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীরের পেপ্টিডোগ্লাইকান স্তর পুরু, তাদের দেয়ালে রঙ দিয়ে রঞ্জিত করা যায়। এটা করতে পারলেই পজিটিভ। বিজ্ঞানী গ্রাম এই ধরণের রং করার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন, তাই গ্রাম পজিটিভ বলে।

যদি পেপ্টিডোগ্লাইকান স্তর পাতলা হয় বা কোষ প্রাচীরই না থাকে তবে সেই ব্যাকটেরিয়ার দেয়ালকে আপনি রঙে রঞ্জিত করতে পারবেন না। এটা হলো গ্রাম নেগিটিভ ব্যাকটেরিয়া।

ব্যাসিক অর্থ Base বা ক্ষার।

জিন তত্ব ও প্রশ্ন

প্রশ্ন
মনোহাইব্রিড ক্রসে লম্বা ও খাটো মটরশুঁটির মধ্যে প্রথম জনুক্রমে সবসময় সবাই লম্বা হয় কেনো? এই প্রকট হওয়ার কারণ কি? কেনো সবাই খাটো হলো না? কোনোভাবে কি সংকরায়নের আগেই জানা যাবে কোন বৈশিষ্ট্য প্রকট হবে?

উত্তর:
1 লম্বা জিন প্রকট (প্রভাবশালী), তাই খাটো জিন থাকলেও সেটি লম্বা হবে। এর মানে এই নয়, লম্বা অপেক্ষা খাটো জিনগুলো প্রকট হয় না।

মেন্ডেলের দ্বিতীয় সুত্র দেখুন (গিনিপিগের ক্ষেত্রে)।
সেখানে খাটো লোম প্রভাবশালী (প্রকট), লম্বা লোম প্রচ্ছন্ন।

2 যে জিন লম্বা হওয়ার জন্য দায়ী ওইটা খাটো বৈশিষ্ট্য এর জিনের সাপেক্ষে প্রকট তাই,
লম্বা হওয়ার জিন খাটো জিনের প্রভাব বিনষ্ট করেছে।
এটা প্রথম
গ্রেগর যোহান মেনন্ডেল পরিক্ষা করেছেন।

ওটিসিস মিডিয়া নিয়ে কিছু বেসিক





-ওটাইটিস মিডিয়া কিভাবে মেনিনজাইটিস সৃষ্টি করে?

মেনিনজেস হলো তিনটি তন্তুযুক্ত ঝিল্লির (Dura mater, Arachnoid mater এবং Pia mater) সমন্বয়, যা মস্তিষ্ক এবং মেরুদণ্ডকে আবৃত করে রাখে এবং সুরক্ষিত করে।
Meninx একটি গ্রিক শব্দ এবং Meninges হলো Meninx এর বহুবচন।

Meningitis = Meninx (পর্দা) + Itis (প্রদাহ)। অর্থাৎ মস্তিষ্ক ঝিল্লির প্রদাহ।

এখন, দীর্ঘমেয়াদি বা ক্রনিক ওটাইটিস মিডিয়ার ফলে মেনিনজেসে প্রদাহ অর্থাৎ মেনিনজাইটিস হতে পারে। ওটাইটিস মিডিয়ার জটিলতা শুধু কর্ণপটহ অঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে না। টাইম্প্যানিক মেমব্রেনের (কানের পর্দা) অবস্থান মস্তিষ্কের নিকটবর্তী হওয়াই জীবাণুর সংক্রমণ মস্তিষ্কেও পৌঁছায়। এবং মস্তিষ্ক অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়াই জীবাণুর আক্রমণে এটি মারাত্মক জটিলতায় ভোগে। ফলে একসময় মেনিনজেসে প্রদাহ সৃষ্টি হয়।


ঝিনুক বৃত্তান্ত


সমুদ্র ভ্রমণে বেরিয়েছেন আর ঝিনুকের দেখা পাবেন না এটা কল্পনা করাই দুষ্কর। নীল জলরাশির তীর ঘেঁষে সাদা বালিয়াড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ঝিনুক সৈকতের সৌন্দর্য যেন কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। কিংবা ভুবন ভুলানো হাসিমাখা কোনো চপল বালিকার গলায় শোভা পায় ঝিনুকগুচ্ছ, তার শোভাবর্ধন করে শতগুণ। কিন্তু ঝিনুকের মূল আবেদন এর বুকে লুকিয়ে থাকা মুক্তা। নিজ গুণের বদৌলতে এটি হয়ে উঠেছে সমাজের আভিজাত্য আর প্রাচুর্যের প্রতীক। মুক্তা নিয়ে কম বেশি সবাই নানা কথা শুনেছেন। কেউ কেউ চোখেও দেখেছেন। কিন্তু কখনো কি ভেবে দেখেছেন মুক্তা আসলে কি? এটা কি দিয়ে তৈরি? তৈরির প্রক্রিয়াদিই বা কি?

মুক্তা মূলত ক্যালসিয়াম কার্বনেটের সূক্ষ্ম স্ফটিক। CaCO³ র আকরিক অ্যারগোনাইট আর ক্যালসাইটের সাথে বিশেষ ধরনের কংক্রিওলিন প্রোটিনের মিশ্রণে মলাস্কা পর্বের প্রাণীর নরম কোষকলার (ম্যান্টল) অভ্যন্তরে মুক্তা তৈরি হয়। আদর্শ মুক্তা সবসময়ই মসৃণ আর নিখুঁত গোলাকৃতির হয়। তবে অনিয়ত আকারেরও হয় যা বারক মু্ক্তা নামে পরিচিত।
মুক্তা তিন ধরণের হয়। ন্যাচারাল, কৃত্রিম বা চাষকৃত আর নকল। স্বভাবতই প্রাকৃতিক মুদ্রার কদর বেশি হয়।

এখন, প্রশ্ন হচ্ছে মুক্তা তৈরি হয় কিভাবে??

মুক্তা তৈরি হয় মলাস্কা পর্বের কোনো প্রাণীর শরীরে; ঝিনুক, শামুক...। এদের শরীর দুভাগে বিভক্ত। বাইরের চুনময় শক্ত খোলস (Shell) আর ভিতরের মাংসল নরমাঞ্চল (Mantle)। ঝিনুকের খোলস আবার তিনটি প্রধান ভাগে বিভক্ত; Periostracum, Prismatic ও Nacreous। খোলস ভেদ করে Mentle টিস্যুতে যখন কোন বস্তুকণা, খাবারের টুকরা, বালিকণা প্রভৃতি প্রবেশ করে তখন নিজেকে রক্ষার জন্য মলাস্কা খোলসের সবচেয়ে ভেতরের স্তর Nacreous থেকে এক ধরণের পদার্থ ক্ষরণ করতে থাকে যাকে নেকার (Nacre) বলে। নেকার মূলত CaCO³ এবং কংক্রিওলিন প্রোটিনের মিশ্রণ। দীর্ঘসময় ব্যাপী ঐ বস্তুকে ঘিরে নেকার ক্ষরিত হয়ে একটা সময় মুক্তা তৈরি করে। তবে বাহ্যিক কোনো কিছুর প্রতি সাড়া দিয়ে মু্ক্তা তৈরির ঘটনা খুব কমই ঘটে। সাধারণত মলাস্কার শরীরের অভ্যন্তরে কোনো পরজীবীর আক্রমণ বা ম্যান্টলের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ফলেই বেশি নেকার ক্ষরণের ঘটনা ঘটে। প্রাকৃতিক মুক্তা তৈরি হয় এভাবে। শেষে পরিপক্ব মুক্তা কোনো সৌভাগ্যবান মুক্তাশিকারীর হাতে পড়ে তার ভাগ্য প্রসন্ন করে দেয়..হাহা।

কৃত্রিম মুক্তা তৈরি হয় কোনো মুক্তাখামারে। ঝিনুকের ম্যান্টল টিস্যু কেটে কোনো উত্তেজক পদার্থ বসিয়ে দেওয়া হয়। সাধারণত উত্তেজক পদার্থটি হয় এক টুকরো মুক্তাচূর্ণ যাকে Mother of Pearls বলে। যার দরুন ঝিনুকটি নেকার ক্ষরণ করে এবং একসময় মুক্তায় পরিণত হয়। আর নকল মু্ক্তা তৈরি হয় কাঁচ দিয়ে।▪◾

_______
[সমুদ্র, ঝিনুক আর মুক্তার কথা একসাথে আসলেই তিন গোয়েন্দার 'অথৈ সাগর' গল্পের কথা মনে পড়ে।😀]

-অনিক আব্দুল্লাহ।

ব্লাড গ্রুপিং নিয়ে কিছু বেসিক ও কথা

#ব্লাড_গ্রুপিং_বৃত্তান্ত।



তোমার বন্ধু মেহেদী। প্রফুল্ল চেহারা হাসিখুশি ছেলে। বিষন্নতা তার ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। কান্নাকাটি দূরের কথা, কখনো গোমড়ামুখেও দেখা যায় না তাকে। সেই মেহেদী এক সন্ধ্যায় তোমাকে ফোন দিয়ে কাঁদোকাঁদো গলায় বলল, 'বাবা ভীষণ অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি। বড়সড় স্ট্রোক করেছে। ডাক্তার রাজীব হোসাইনন বলেছেন, মেজর একটা অপারেশন করতে হবে। সে জন্য বেশ কয়েক ব্যাগ রক্ত লাগবে। বাবার রক্তের গ্রুপ A পজেটিভ। তোর রক্তের গ্রুপও তো A পজেটিভ। তুই কি পারবি রক্ত দিতে?'

প্রাণপ্রিয় বন্ধুর এই মহাবিপর্যয়ের দিনে তুমি তার পাশে দাঁড়াতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে গেলে হাসপাতলে। মেহেদীর কাঁধে হাত রেখে সান্তনা দিলে। তারপর গেলে রক্ত দিতে। 

গল্পের এই পর্যায়ে এসে তোমার মনে কি প্রশ্ন জেগেছে যে, কেন রক্ত দিতে হলে রক্তদাতা এবং গ্রহীতার রক্তের গ্রুপ একই হতে হবে? অন্য গ্রুপের রক্ত কেন দেওয়া যায় না? দিলে কি সমস্যা হবে? তোমার রক্তের গ্রুপ যে A পজেটিভ এটাই বা কিভাবে জানা গেল? 

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর নিয়েই এই লেখাটি।  

প্রথমেই আসি রক্তের গ্রুপ বা ব্লাড গ্রুপিংয়ের ব্যাপারে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রধানত দুই ধরনের ব্লাড গ্রুপিং সিস্টেম প্রচলিত আছে- ABO ব্লাড গ্রুপ আর Rh ব্লাড গ্রুপ। ABO ব্লাড গ্রুপে আছে চার ধরনের ব্লাড- A, B, AB, আর O। Rh ব্লাড গ্রুপে আছে দুই ধরনের ব্লাড- Rh পজিটিভ আর Rh নেগেটিভ। আমাদের গল্পটিতে তোমার রক্তের গ্রুপ A পজেটিভ (নিজের ব্লাড গ্রুপও A পজিটিভ কিনা!)। তাহলে তোমার রক্তের গ্রুপের প্রথম অংশটি জানা যাবে ABO ব্লাড গ্রুপিং সিস্টেম থেকে। অর্থাৎ কারো রক্ত কোন গ্রুপের- A, B, AB নাকি O গ্রুপ তা জানা যায় ABO ব্লাড গ্রুপিং সিস্টেম থেকে। আর Rh ব্লাড গ্রুপিং সিস্টেম থেকে জানা যাবে তোমার রক্তের গ্রুপের দ্বিতীয় অংশটি। অর্থাৎ কেউ শরীরে পজেটিভ না নেগেটিভ রক্ত বহন করছে তা জানা যায় Rh ব্লাড গ্রুপিং সিস্টেম থেকে। 

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয় কিভাবে?

রক্তের গ্রুপ নির্ণয় করা হয় রক্তের লোহিতকণিকার (RBC) আবরণীতে থাকা এন্টিজেনের উপস্থিতি থেকে। রক্তের গ্রুপ A হলে RBC তে a এন্টিজেন রক্তের গ্রুপ B হলে b এন্টিজেন আর রক্তের গ্রুপ AB হলে a, b দুইটা এন্টিজেনই থাকবে। আর রক্তের গ্রুপ যদি O হয় তাহলে কোনো এন্টিজেনই থাকবে না। আর RBC র আবরণীতে যদি Rh এন্টিজেন থাকে তাহলে রক্ত পজেটিভ, না থাকলে নেগেটিভ। 

এখন তোমার নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে রক্তে অ্যান্টিজেন ব্যাটার থাকা না থাকাটাই কি সব? বুঝবো কি করে কোন এন্টিজেন লুকিয়ে আছে আমার RBC র পর্দার আড়ালে?

হুম, ভালো প্রশ্ন। কোন এন্টিজেন আছে বা আদৌ আছে কিনা এটা বোঝা যায় এন্টিজেনের জাতশত্রু এন্টিবডিকে ধরে নিয়ে আসলে। এইজন্য তোমার আঙুলে আলতোভাবে ফুটো করে একটা স্লাইডে তিন ফোঁটা রক্ত নেয়া হবে। তাতে প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ফোঁটোতে যোগ করা হবে যথাক্রমে এন্টিবডি Anti-A, Anti-B, Anti-D। তখন যদি এন্টিজেন-এন্টিবডি বিক্রিয়া হয় অর্থাৎ এন্টিবডি যদি তার দোস্ত (পড়ুন শত্রু) এন্টিজেন কে চিনতে পেরে যুদ্ধ বাধিয়ে বসে তাহলে সব RBC রা একজোট হয়ে বিদ্রোহ করে। RBC দের একসাথে হওয়ার এই ঘটনাকে বলে Clotting বা রক্ত জমাট বাঁধা। জমাট বাঁধা রক্ত দেখলে মনে হয় এটি লাল আর হলুদ দুইটা অংশে বিভক্ত হয়ে গেছে। লাল অংশটি লোহিত রক্তকণিকা বা RBC আর হলুদ অংশটি হচ্ছে সেরাম। এন্টিবডি যোগ করার পর বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটতে পারে-

ঘটনা-১: যদি Anti-A যোগ করা রক্তের ফোঁটা লাল-হলুদ অংশে বিভক্ত হয় তাহলে বুঝতে হবে তোমার রক্তের গ্রুপ A। 
ঘটনা-২: যদি Anti-B যোগ করা রক্তের ফোঁটাটি জমাট বাঁধে তাহলে তোমার রক্তের গ্রুপ B। 
ঘটনা-৩: যদি দুটো রক্তের ফোঁটাই জমাট বাঁধে তাহলে তোমার রক্তে AB গ্রুপের। 
ঘটনা-৪: যদি দুটোর কোনটাই জমাট না বাঁধে তাহলে তোমার রক্তের গ্রুপ O।

এখন, অবশিষ্ট থাকল তৃতীয় রক্তবিন্দু। এতে যোগ করা হয়েছে Anti-D। এক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটে। যদি রক্ত জমাট বাঁধে তাহলে রক্তের গ্রুপ Rh পজেটিভ, না বাঁধলে Rh নেগেটিভ। 

এখানে আরো কিছু মজার ব্যাপার আছে। তোমার এক বড় আপু অহনার রক্তের গ্রুপ O। অহনা সবাইকে রক্ত দিতে পারবে। কারণ, O গ্রুপের রক্তে কোনো এন্টিজেন থাকে না। তাই শরীরে O গ্রুপের রক্ত দেয়া হলে এন্টিবডি এসে ঝামেলা করার কোন সুযোগই পাবে না। এজন্য O (নেগেটিভ) ব্লাড গ্রুপকে বলা হয় Universal Donor। আবার তোমার আরেক বন্ধু তিতিরের রক্তের গ্রুপ AB। সে সব গ্রুপের রক্ত নিতে পারবে। এজন্য AB ব্লাড গ্রুপকে বলা হয় Universal Receiver। 

এখন সেই মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন, কেন তোমাকে মেহেদী তার বাবার সাথে তোমার ব্লাড গ্রুপ মেলে বলে তোমাকে রক্ত দিতে বলল? অন্য গ্রুপের রক্ত দিলে কি হবে?

যদি দাতার ব্লাড গ্রুপ গ্রহীতার ব্লাড গ্রুপের সাথে না মেলে তাহলে নয় নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখা দেবে। মুরগির খোয়ার আশ্রয়কেন্দ্র বানালেও বিপদ কাটবে না। আমাদের গল্পে, মেহেদীর বাবার রক্তের গ্রুপ A পজেটিভ। এখন তাকে যদি মেহেদীর বাবার বন্ধুর B পজিটিভ রক্ত দেওয়া হয় তাহলে মেহেদীর বাবার বন্ধুর রক্ত মেহেদীর বাবার রক্তপ্রবাহে মিশ্রিত হবার সাথে সাথে মেহেদীর বাবার শরীর কাঁপাকাঁপি শুরু করে দেবে, শরীরের অস্থিরতা ভর করবে, বমি বমি ভাব দেখা দেবে, তিনি বুকে-পিঠে প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব করবেন, তার শ্বাস-প্রশ্বাস ও পালস রেট বেড়ে যাবে, রক্তচাপ কমে যাবে। কিছুদিন পর আরও কিছু সমস্যা দেখা দেবে। যেমন- তার লোহিত রক্তকণিকা ভাঙতে শুরু করবে (Hemolysis)। ফলে রক্তে বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে যাবে এবং তিনি জণ্ডিসে আক্রান্ত হবেন। এরপর তার কিডনি বিদ্রোহ করবে এবং সব কার্যক্রম বন্ধ করে দেবে (Acute Renal Shutdown)। ফলে এক সপ্তাহের মাথায় তিনি মারা যাবেন। বুঝতেই পারছ কতটা ভয়াবহ ব্যাপার। দাতা ও গ্রহীতার রক্ত যদি একই গ্রুপের হয় তাহলেও এত নিশ্চিন্ত হওয়ার কিছু নেই। বিপদ ঘটতে পারে সেক্ষেত্রেও। এক্ষেত্রে তাৎক্ষণিক বিপদ হিসেবে দেখা দিতে পারে জ্বর, এলার্জি, ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ প্রভৃতি। প্রলম্বিত বিপদ হিসেবে রক্তে অবাধ অনুপ্রবেশ ঘটতে পারে ভয়াবহ কিছু রোগজীবাণুর (যেমন- ভাইরাল হেপাটাইটিস, এইডস, ম্যালেরিয়া, কালাজ্বর)। তবে আশার কথা এই বিপদগুলো ঠেকানো যায় খুব সহজেই। এজন্য রক্ত দেওয়ার আগে কিছু টেস্ট করাতে হয়।

১. ক্রস ম্যচিং: দাতার রক্ত গ্রহীতার শরীরে প্রদান করা হলে কোন সমস্যা হবে কিনা তা জানা যায় ক্রস ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে। এটি একটি মজার টেস্ট। এতে দাতার লোহিত রক্তকণিকা (এন্টিজেন) আর গ্রহীতার সেরাম (এন্টিবডি) মিলিয়ে দেখা হয় রক্ত জমাট বাঁধে কিনা। জমাট বাঁধলে রক্ত দেওয়া যাবে না, না বাঁধলে দেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে দাতার সেরামকে খুব একটা পাত্তা দেওয়া হয় না কারণ গ্রহীতার সেরামের পরিমাণ বেশি থাকে।
২. স্ক্রিনিং: দাতার রক্তে রোগজীবাণু আছে কিনা পরীক্ষা করা হয়। ▪◾

[যতদূর মনে পড়ে, লেখাটি ব্যাপন '১৮ এর মে-জুন সংখ্যার; সাবরিনা আপুর লেখা। লেখাটি ভালো লাগায় তখন এই অংশটুকু কোট করে রেখেছিলাম। আজ দুপুরে একাডেমিক ক্লাস করায় এটার কথা মনে পড়ে। পরে অসংখ্য নোটের সিন্ধু সেঁচে খুঁজে বের করে শেয়ার করলাম। ঈষৎ পরিমার্জিত এবং পরিবর্ধিত।]

*শব্দটিকাঃ
Hemolysis: "hemo" (গ্রীক haima হতে আগত যার অর্থ blood/রক্ত) + "lysis" (গ্রীক lusis থেকে আগত যার অর্থ disintegration of cells/কোষের বিভাজন)। 
লোহিত রক্তকণিকা বিভাজিত বা ভেঙে যাওয়ার ফলে হিমোগ্লোবিনের প্লাজমায় বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়াই হলো Hemolysis।

-অনিক আব্দুল্লাহ।

প্রশ্ন যা জানা জরুরী

#BHQ
What is the difference between Gametogenic meiosis, Sporogenic meiosis and Zygotic meiosis?

উত্তর 
১। গ্যামিটোজেনিক মায়োসিসঃ যে মায়োসিসের মাধ্যমে গ্যামিট উৎপন্ন হবে। এটা ঘটবে জনন মাতৃকোষে। ডিপ্লয়েড জীবে।
২। স্পোরোজেনিক মায়োসিসঃ অনুন্নত জীবে (শৈবাল, ছত্রাক) ঘটবে। এক্ষেত্রে উৎপন্ন স্পোর হবে হ্যাপ্লয়েড।
৩। জাইগোটিক মায়োসিসঃ জাইগোটে ঘটে। এটা ঘটবে অনুন্নত জীবে। যদি দুটো হ্যাপ্লয়েড স্পোর জাইগোট গঠন করে ডিপ্লয়েড দশা প্রাপ্ত হবে। মূল উদ্ভিদ হ্যাপ্লয়েড হওয়ায় জাইগোটে অবশ্যই মায়োসিস ঘটতে হয়।

ড রাজীব হোসাইন সরকার 

প্রশ্ন ও উত্তর


#BHQ 
 প্রশ্ন: শুক্রধানী কী?

উত্তর:
ধানী অর্থ যে ধারণ করে। তেমনই শুক্রধানী অর্থ যে অঙ্গ শুক্রাণুকে ধারণ করে। শুক্রাণুকে ধারণ করবে স্ত্রী ঘাসফড়িং। লজিক্যালি স্ত্রী ঘাসফড়িং এই অঙ্গটি ধারণ করবে

কিছু অজানা প্রশ্ন

#BHQ
1)অরীয় ক্লিভেজ, দ্বিপার্শীয় ক্লিভেজ, সর্পিল ক্লিভেজ বলতে আসলে কী বুঝায়?

2)অনির্দিষ্ট ক্লিভেজ ও নির্দিষ্ট ক্লিভেজ কী?


3 সরিসৃপ শ্রেণির ভ্রূণের পরিস্ফুটনের সময় বহিঃভ্রূণীয় ঝিল্লি সৃষ্টি হয় ফলে কোনো লার্ভা দশা নেই। এর কারণ কী?

4. কর্ডেটের খণ্ডকায়ন দেহপ্রাচীর, মস্তিষ্ক ও লেজে সীমাবদ্ধ থাকে, সিলোম পর্যন্ত পৌঁছায় না; বলতে কী বুঝানো হয়েছে? 

5. একাইনোডার্মাটার প্রানীরা কেন সবাই সামুদ্রিক। অসমোরেগুলেশন এর সাথে এর সম্পর্ক কী?

6. অরীয় ক্লিভেজ, দ্বিপার্শীয় ক্লিভেজ ও সর্পিল ক্লিভেজ বলতে কী বোঝায়?

7.
 Mitosis এর Prophase ধাপে কেন Nuclear membrane ও Nucleolus এর বিলুপ্তি ঘটে? Cdk এর ফসফোরাইলেশনের সাথে এর সম্পর্ক কী?
 ক্রোমোজোম সূত্রের সংকোচন, কাণ্ডদেহের প্রসারণ এর কারণে কেন Anaphase ধাপে কেন অপত্য ক্রোমোজোমের মেরুমুখী চলন ঘটে?




উত্তর ::::;; to be continued ❤️🙏

প্রশ্ন পর্ব

#BHQ
গবলেট কোষ কোথায় বেশি থাকে? ক্ষুদ্রান্ত্র/বৃহদন্ত্র? 
ক্ষুদ্রান্ত্র,বৃহদন্ত্র ও শ্বাসনালি ব্যতিত আর কোথাও কি গবলেট কোষ থাকে? যকৃতে থাকে কি? থাকলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই 🙂


উত্তর

–বৃহদান্ত্রে বেশি থাকে..বইয়ে যা পড়লাম তা থেকে বলা যায় বৃহদান্ত্র,ক্ষুদ্রান্ত্র আর শ্বাসনালিতে থাকে

_ এইটুকু তো আমিও জানি ভাই... যকৃতের ব্যাপারে শিউর হতে চাচ্ছিলাম 😃

– যকৃতে গবলেট কোষ থাকা নিয়ে আজ পর্যন্ত পড়লাম না..যতটুক জানি যকৃতে গবলেট কোষ নাই🙂

রাজীব ভাই নাকি বলেছিল অল্প পরিমাণে থাকে 🙃

প্রশ্ন পর্ব (3)

1. হাসান স্যারের বইতে বলেছে, মাইটোসিসের মাধ্যমে কিছু কিছু কোষ যেমনঃ RBC, কর্নিয়ার বাইরের কোষ এর পুনরুৎপাদন ঘটে। 
কিন্তু RBC তো অস্থিমজ্জা থেকে উৎপণ্ণ হয়। আর পরিণত RBC তো বিভাজিত হয় না। বইয়ের লাইনটি দ্বারা কী বুঝিয়েছে?

2. ক্রোমোজোমের সংখ্যা ধ্রুব রাখা ও ক্রোমোজমের সমতা রক্ষা করা, এই দুটো শব্দের মধ্যে পার্থক্য কী?

3. Diploid জীবে Meiosis ঘটলেও Haploid জীবে কেন কখনো Meiosis ঘটে না? ১/২ n কেন হয় না কখনো? কেন শুধু 2n ক্রোমোজোম বিশিষ্ট জীবদেহে Meiosis ঘটে?

4. Diplotene উপপর্যায়ে দুই বা ততোধিক বাহু পরস্পর আবর্তনের ফলে পাশাপাশি লুপ 90 ডিগ্রি কোণ করে অবস্থান করে।দুই বা ততোধিক বাহু পরস্পর আবর্তন বলতে কী বুঝিয়েছে?



উত্তর 



1 লজিক
RBC এর পুনরুৎপত্তির কথা বলে হলে ব্যাখ্যা টা এমন হবে!

অস্থিমজ্জার স্টেম কোষ থেকে কিন্তু উৎপন্ন হয়েছি এরিথ্রোব্লাস্ট

ব্লাস্ট মানে অপরিনিত কোষ। এতে নিউক্লিয়াস থাকে, ফলে বিভাজিত হতে পারে,, এই এরিথ্রোব্লাস্ট মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে এরিথ্রোসাইট অর্থাৎ RBC তৈরী করছে!

তো RBC কিন্তু ২ বার ই তৈরী হওয়া হচ্ছে,, একবার অপরিনত আর একবার পরিনত। যা পুনরুৎপত্তি বলতেই পারি!


2 লজিক

 Erytroblast থেকে তো Exocytosis প্রক্রিয়ায় Nucleus সহ অন্যান্য উপাদান বেরিয়ে যায়। ফলে Erythrocyte উৎপণ্ণ হয়। এখানে Mitosis কীভাবে হলো??🤔


— কোষ বিভাজন ব্যাতিত কোন কিছুই সম্ভব নাহ। বিভাজন হবার সময় নিউক্লিয়াস বের হয়ে গেছে



3 লজিক


ডিপ্লয়েড মানে 2n একে আপনি মিয়োসিস করতে পারবেন। মিয়োসিস মানে হাল্ফ হয়ে যাবে!
2n থেকে হয়ে যাবে n ফলে 
এতে করে বাবার 2n দেহ থেকে আসবে একটা n

আবার মায়ের 2n দেহ থেকে আসবে একটা n
২ টা n মিলিত হয়ে তৈরী হচ্ছে আপনার দেহ n+n=2n
আবার এভাবেই আপনার আর আপনার হাসবেন্ড এর দেহ থেকে একটা করে n আপনাদের পরবর্তী প্রজন্ম তে চলে যাবে। এজন্য ডিপ্লয়েড জীবনে মিয়োসিস সম্ভব। 

কিন্তু যদি হ্যাপ্লয়েড বা nজীবে মিয়োসিস করতে যান তাহলে n কে হাল্ফ করলে হইয়া যাবে 1/2n 

1/2 n মানে বাবা কিংবা মায়ের এক সেট ক্রোমোসোমের অর্ধেক।
সেট অর্ধেক করলে, অর্ধেক জিন মিসিং হবে। সেসব জিন ছাড়া তো আপনি কখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আছে যেগুলো তৈরিই করতে পারবেন না।




বিশেষ ইনফো 

 1/2 n মানে বাবা কিংবা মায়ের এক সেট ক্রোমোসোমের অর্ধেক।
সেট অর্ধেক করলে, অর্ধেক জিন মিসিং হবে। সেসব জিন ছাড়া তো আপনি কখনো অনেক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আছে যেগুলো তৈরিই করতে পারবেন না।


লজিক 3


২)ক্রমজোমের সং্খায় ধ্রুব রাখা মানে অপরিবর্তিত রাখা অর্থাৎ মাতৃকোষের সমপরিমাণ।

–তাহলে ক্রোমোজোম এর সমতা রক্ষা করা মানে কী?

–সমতা রক্ষা আর ধ্রুন রালহা পরস্পর সমার্থক।
দুই একই বিষয় বুঝিয়েছে।

– কিন্তু বইতে তো আলাদাভাবে দেখিয়েছে। ধ্রুব রাখে Meiosis আর সমতা রক্ষা করে Mitosis🤔
 
—মিয়োসিস এ n সংখ্যক ক্রোমোজোম যুক্ত জনন কোষ নিষেকের ফলে মিলিত হয়ে 2n বা ডিপ্লয়েড ভ্রুন তৈরি করে,এটাই সমতা রক্ষা।
অন্যদিকে,মাইটোসিস এ ক্রোমোজোম সংখ্যা অপরিবর্তিত (ধ্রুব) থাকে।
এটাই বোঝানো হয়েছে।

প্রশ্ন পর্ব 3


1.মাইটোসিসের Interphase এ DNA Replication এর প্রয়োজন হয় কিন্তু মায়োসিসে কেন DNA প্রতিরূপ হয় না?🤔 মায়োসিস-১ বা মায়োসিস-২ দুটোর একটিতেও কী DNA Replication এর প্রয়োজন নেই??

2. মায়োসিস প্রক্রিয়ায় সাইটোকাইনেসিস-১ টাকেই কেন ইন্টারকাইনেসিস বলেছে কেন? ইন্টারকাইনেসিসই কী ইন্টারফেজ???



উত্তর


। মিওসিসের ১ এর প্রোফেজ ১ এর শুরুতেই শুধু প্রতিলিপন ঘটবে। এটা আবুল হাসানের বইতেই আছে। প্রোফেজ ১ অংশ দেখেন 

২)ইন্টারকাইনেসিস বলা হয় মূলত এই কারণে যে কোষে নিউক্লিয়াসের আরো এক ধাপ বিভাজন বাকি আছে। তাই এই ধাপে বিভাজনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রোটিন ও RNA সংশ্লেষিত হয় কিন্তু কোনো প্রকার DNA রেপ্লিকেশন হয়না। তাই এটাকে ইন্টারফেজ বলা যাবে না 

তাছাড়া ইন্টারফেজ হলো একটি কোষের বিভাজন কমপ্লিট শেষ এরপর আবার আরেকটি নতুন বিভাজন শুরু হবে। এই দুটোর মধ্যবর্তী অবস্থা। এক্ষেত্রে অবশ্যই Dna প্রতিলিপন হবে। 

আর ইন্টারকাইনেসিস হলো সমগ্র বিভাজনের প্রথম ধাপ শেষে দ্বিতীয় ধাপের জন্য প্রস্তুতি। 


লজিক

 Interkinesis এ কেন DNA Replication হয় না?


কাউন্টার অ্যান্ড আনসার 

ইন্টারকাইনেসিস মানে মধ্যবর্তী অবস্থা। এই অবস্থায় যেহেতু ক্যারিওকাইনেসিস এ উৎপন্ন দুইটি নিউক্লিয়াস আছে সেগুলোকে ঘিরে সাইটোপ্লাজমের বন্টন করতে হয়। যেহেতু ইন্টারকাইনেসিসে তা ঘটে তাই এটাকে সাইটকাইনেসিস ১ ও বলা হয়।

আর সাইটকাইনেসিস ২ কে দেখেন ইন্টারকাইনেসিস ২ বলছে না কারন এখানে স্পষ্টতই বিভাজন কমপ্লিট হয়ে গেছে। তাই এখানে নিরবিচ্ছিন্ন পরবর্তী আর কিছুই নেই। এজন্য মিওসিসের এটাই শেষ ধাপ। 

মানব শরীর তত্ব

Article:2 ভ্যাসেকটমি কী?ভ্যাসেকটমির পর কী হবে? এটা জানতে হলে প্রথমে একটু বেসিকটা জানতে হবে।কী বেসিক? দেখো নামটি হচ্ছে ভ্যাসেকটম...