'
'
★নিষেক (Fertilization)
-----------------------------------
★ডিম্বাণু & শুক্রাণুর মিলনের মাধ্যমে জাইগোট তৈরি হবার প্রক্রিয়াকে বলে নিষেক।
'
★ধাপ:
----------
★নিষেক ঘটতে হলে শুক্রাণু টাকে ডিম্বাণুর ভিতরে প্রবেশ করতে হবে। অর্থাৎ ডিম্বাণুর প্রত্যেকটা আবারণী (করোনা রেডিয়াটা,জোনা পেলুসিডা) কে অতিক্রম করতে হবে।অর্থাৎ নিষেকে ধাপগুলো হলো:-
১.করোনা রেডিয়াটাকে অতিক্রম।
২.জোনা পেলুসিডা কে অতিক্রম।
৩.ডিম্বাণু & শুক্রাণুর মিলন।
'
★ফলাফল & গুরুত্ব:
---------------------------
★শুক্রাণু n ডিম্বাণু n দুটো মিলে জাইগোট তৈরি করে 2n অর্থাৎ ডিপ্লয়েড ক্রোমোজেম গঠন করে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে।
★এর মাধ্যমে ভ্রুণ এর লিঙ্গ নির্ধারণ হয়।
★জীবে বংশ রক্ষা & ধারাবাহিকতা নিশ্চয়তা প্রদান করে।
'
'
★নোট:কেন জনন মাতৃকোষে মিয়োসিস & জননকোষে মাইটোসিস হয়??
'
★আমরা দেখেছি নিষেকে সংঘটিত শুক্রাণুটি বাবা হতে & ডিম্বাণুটি মা হতে এসেছে।তাই এ জননকোষগুলোকে বলে জনন মাতৃকোষ।অর্থাৎ এগুলো পরবর্তীতে বিভাজিত হবে।
এখন যদি এগুলোতে মিয়োসিস হয়ে n (হ্যাপ্লয়েড) হত তাহলে নিষেকে মিলনের পর 2n+2n=4n হয়ে যেত।অর্থাৎ পরবর্তী সন্তানটির ক্রোমোজোম ভিন্ন হতো।আবার তার সন্তানের 8n তারপর 16n হতো।এভাবে নতুন কোনো প্রজাতি তৈরি হতো।
★তাই জনন মাতৃকোষে মিয়োসিস হয় যেন মাতৃকোষ এর ক্রোমোজোম গুলো 2n হতে n এ হতে পারে।
'
★তারপর নিষেকে পর দেখা যাচ্ছে জাইগোটটি আস্তে আস্তে বড় হবে ফিটাস হয়ে বাচ্চাতে রুপান্তর হবে তারপর সন্তানটি জন্ম নিবে অর্থাৎ জাইগোটটি বড় হবে।
এখন বড় হতে গেলে স্বাভাবিক নিয়মে মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে বড় হবে।
★তাই বলে জননকোষে মাইটোসিস হবে।
Part-7
'
★ইমপ্লান্টেশন:
--------------------
★আমরা জানি জরায়ুর (uterus) এর তিনটি স্তর যথা:
★পেরিমেট্রিয়াম।
★মায়োমেট্রিয়াম।
★এন্ড্রোমেট্রিয়াম।
'
★জরায়ুর (এন্ড্রোমেট্রিয়াম স্তরে ভ্রুণ (জাইগোটটি) স্হাপিত হওয়াকে বলে ইমপ্লান্টেশন।
★ইমপ্লান্টেশনের সময় ভ্রুণ যে অবস্হায় থাকে তাকে ব্লাস্টোসিস্ট বলে।
'
'
★ভ্রুণ গঠন প্রক্রিয়া:
-------------------------------
১) ক্লিভেজ:
যে প্রক্রিয়ায় জাইগোট মাইটোসিস বিভাজনের মাধ্যমে বিভাজিত হয়ে অসংখ্য ভ্রূণকোষ সৃষ্টি করে তাকে ক্লিভেজ বা সম্ভেদ বলে।
'
★ক্লিভেজে সৃষ্ট ভ্রূণের প্রতিটি কোষকে ব্লাস্টোমিয়ার বলে।
'
★ক্লিভেজ প্রক্রিয়ায় ক্রমাগত কোষ বিভাজনের ফলে জাইগোটটি বহুকোষী নিরেট গোলকে পরিণত হয়। এর নাম মরুলা।
'
★মরুলার কোষগুলো ক্রমশ একস্তরে সজ্জিত হয় এবং এর ভেতরে একটি তরলপূর্ণ গহ্বর সৃষ্টি হয়। ভ্রূণের এ দশাকে ব্লাস্টুলা বলে।
'
★ব্লাস্টুলার প্রাচীরকে ব্লাস্টোডার্ম।
★ তরলপূর্ণ গহ্বরকে ব্লাস্টোসিল বলে।
'
★ভ্রূণ ব্লাস্টুলায় পরিণত হওয়ার সাথে সাথে ক্লিভেজ দশার পরিসমাপ্তি ঘটে।
★গ্যাস্ট্রোলেশন:যে প্রক্রিয়ায় তিনটি ভ্রণস্তর তৈরি তাকে বলে গ্যাস্ট্রোলেসন:
'
★মানব ভ্রুণের তিনটি স্তর যথা:
>>ভ্রণীয় স্তরের পরিণতি:-
'
১.এক্টোডার্ম:
"এনামুলের চোখের অপটিক স্নায়ুর পাওয়ার অনেক"
*এনামুল-এনামেল,এপিডার্ম।
*চোখ-চোখ।
*অপটিক স্নায়ু-অল স্নায়ুতন্ত্র
*পাওয়ার-পায়ুর আবরণ।
*অনেক-অন্তকর্ণ।
'
২.মেসোডার্ম:-
"তুমার (ইউর) ডিওডেনামে লম্বার পেরেক সংযোজন প্রয়োজন"
*ইউর-ইউস্টেশিয়ান নালী
*ডিও-ডার্মিস
*ডেনাম-ডেন্টিন (দাত)
*লম্বা-লসিকা।
*পে-পেশি টিস্যু।
*রে-রেচনতন্ত্র।
*সংযোজন-সংবহনতন্ত্র (রক্ত)
*প্রয়োজন-প্রজননতন্ত্র।
'
৩.এন্ডোডার্ম:-
"জ্বরের মধ্যে অযথা সংসয় জাগে"
*মধ্যে-মধ্যকর্ণ
*অ-অগ্ন্যাশয়
*থা-থাইমাস,থাইরয়েড।
*সংশয়-শ্বসনতন্ত্র।
'
'
'
★ অর্গানোজেনেসিস:
গ্যাস্ট্রুলেশনে সৃষ্ট ভ্রূণীয় স্তরগুলো থেকে ভ্রূণের অঙ্গকুঁড়ি সৃষ্টির প্রক্রিয়াকে,অর্
থাৎ বিভিন্ন অরগান(অঙ্গাণু) তৈরি হবার প্রক্রিয়া।
No comments:
Post a Comment