Monday, March 29, 2021

কোষ বিভাজন

(কোষ বিভাজন)
____________________
★টেকনিক-১
-------------------
জীবজগতে ক্রসিং ওভারের গুরুত্ব মনে "জেবা পাগল"
*. জ= জিনগত পরিবর্তন
*. ব= বৈশিষ্ট্যগত পরিবর্তন
*. ব= বৈচিত্র সৃষ্টি
*. প= প্রকরণ
*.প= প্রজননবিদ্যা
*.গ= গবেষণা.
'
'
★টেকনিক-২
--------------------
যেসব কোষ কথনও বিভাজিত হবে না তা "পলাস"
*. প = পেশিকোষ
*. লা = লাল রক্ত কোষ
* . স = স্মায়ু কোষ
*. স = স্থায়ী উদ্ভিদ কোষ.


Part-1

★★কোষ বিভাজন★★
---------------------------------
★যে প্রক্রিয়ায ১ টি কোষ বিভাজিত হয়ে ২ আবার ২ টি থেকে ৪ টি নতুন কোষ সৃষ্টি করে সে প্রক্রিয়াকে বলে কোষ বিভাজন।
*সর্বপ্রথম কোষ বিভাজন লক্ষ করেন "ওয়াল্টার ফ্ল্রেমিং"
*সমুদ্রের "সালমান্ডার" প্রাণির কোষে।
!
★কোষ বিভাজন ৩ প্রকার যথাঃ
১.অ্যামাইটোসিস(প্রত্যাক্ষ কোষ বিভাজন)
২.মাইটোসিস(সমীকরণিক বিভাজন)
৩.মিয়োসিস(হ্রাসমুলক বিভাজন).
!
!
!
!
*অ্যামাইটোসিস*
----------------------
★যে প্রক্রিয়ায় কোষের নিউক্লিয়াস & সাইটোপ্লাজম সরাসরি জটিলতা ছাড়ায় বিভক্ত হয়ে ২ টি অপত্য কোষ সৃষ্টি করে তাকে বলে অ্যামাইটোসিস।
!
★কোথায় ঘটে:-ইস্ট,অ্যামিবা প্রভৃতি ১ কোষী জীবে ঘটে থাকে।
!
!
!
!
*কোষচক্র*
---------------
★একটি কোষ সৃষ্টি, বৃদ্ধি & পরবর্তীতে বিভাজন যে চক্রের মাধ্যমে সমপন্ন হয় তাকে বলে কোষচক্র।
*হাওয়ার্ড ও পেল্ক সর্বপ্রথম প্রস্তাব করেন।
*কোষচক্রে অভ্যন্তরীণ উদ্দীপনা দান করে cdk(সাইক্লিন)প্রোটিন।
!
!
★কোষচক্র ধাপ:
১.বিভাজন পর্যায়(মাইটোসিস দশা)=৫-১০% সময়।
২.ইন্টারফেজ(প্রস্তুতি পর্যায়)=90-95% সময় লাগে।
*G-1:সাইক্লিন প্রোটিন সৃষ্টি হয় (৩০-৪০% সময় লাগে).
*S দশা:DNA রেপ্লিকেশন হয় (30-50% সময় লাগে).
*G-2 দশা:মাইক্রোটিউবলস সহ যাবতীয় জিনিস সৃষ্টি হয় (১০-২০% সময় লাগে).
!
!
!
*মাইটোসিস*
---------------------
★ক্যারিওকাইনেসিস:নিউক্লিয়াসের বিভাজন।
★সাইটোকাইনেসিস:সাইটোপ্লাজমের বিভাজন।
!
★যে প্রক্রিয়ায় কোষের নিউক্রিয়াস ১ বার ও ক্রোমোজোম ১ বার বিভাজিত হয়।তাকে মাইটোসিস বলে।
!
*শ্লাইখার সর্বপ্রথম মাইটোসিস বিভাজন লক্ষ করেন।
*ফ্ল্রেমিং সর্বপ্রথম মাইটোসিস নাম দেন।
!
★যেখানে ঘটে:-প্রাণি ও উদ্ভীদের দেহকোষে ঘটে।বিবিন্ন শাখা প্রশাখা,ক্যাম্বিয়াম, জননাঙ্গের গঠন & বৃদ্ধি।
!
!
!
★মাইটোসিস প্রক্রিয়ার ধাপ (৫টি):
----------------------------------------------
১.প্রোফেজ:
*নিউক্লিয়াস আকারে বড় হয়।
*জলবিয়োজন হয় ফলে ক্রোমোজোন খাটো & মোটা হয়।
*নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার এনভেলপ(পর্দা)বিলুপ্তি হওয়া শুরু হয়।
*অপত্য ক্রোমাটিড সৃষ্টি হয়।
!
!
২.প্রোমেটাফেজ:-
*স্পিন্ডল যন্ত্র সৃষ্টি হয়।
*ট্র্যাকশন ফাইবার সৃষ্টি হয়।
*ক্রোমোজমীয় নৃত্য দেখা যায়।
*অ্যাস্টার রশ্মি দেখা যায়।
!
!
৩.মেটাফেজ:-
*নিউক্লিওলাস & নিউক্লিয়ার পর্দার পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়
*মেটাকাইনেসিস ঘটে অর্থাৎ সমস্ত ক্রোমোজোমগুলো মধ্য অবস্হানে (বিষুবীয় অন্চলে) এসে বিন্যস্ত হয়।
!
!
৪.এনাফেজ:-
*সেন্ট্রোমিয়ার বরাবর ভেঙ্গে যায় এবং ক্রোমোজোম গুলো মেরুমুখী হয়।
*ক্রোমোজোম গুলো V,L,J,I আকৃতির হয়।
!
!
৫.টেলোফেজ:-
*(প্রোফেজ এর বিপরীত)
*জলযোজন ঘটে।
*নিউক্লিওলাস ও নিউক্লিয়ার পর্দার পুর্ণ আবির্ভাব ঘটে।
*নতুন দুটি অপত্য নিউক্লিয়াস সৃষ্টি হয়।
!
!
★★অনিয়ন্ত্রিত মাইটোসিস:-ফলে ক্যান্সার & টিউমার হয়।
★কোষের মৃত্যু ২ প্রকার যথা:
১.Necrosis (প্রাকৃতিক মৃত্যু):-পুষ্টির অভাবে বা বিষাক্ত দ্রব্যের কারণে হয়।
২.Apostosis(জেনেটিক্যালি মৃত্যু):-অপ্রয়ো
জনীয় কোষগুলো ধ্বংস হবার প্রক্রিয়া।Apostosis নিয়ন্ত্রণ করে 'মাইটোসিস'।




Part-2

★★মিয়োসিস★★
-------------------------
★যে প্রক্রিয়ায় কোষের নিউক্লিয়াস ২ বার কিন্তু ক্রোমোজোম ১ বার বিভক্ত হয় তাকে 'মিয়োসিস' বলে।ক্রোমোজোম সংখ্যা হ্রাস পায় বলে হ্রাসমুলক বিভাজন বলে।
*স্ট্রাসবুর্গার সর্বপ্রথম মিয়োসিস লক্ষ করেন।
*ফার্মার ও মুর সর্বপ্রথম মিয়োসিস নাম করেন।
!
★কোথায় ঘটে:
*নিম্নশ্রেণির জীবে মিয়োসিস ঘটে 'জাইগোটে'
*উচ্চশ্রেণির জীবে মিয়োসিস ঘটে 'জনন মাতৃকোষে'
!
!
★সংঙ্গায় পড়েছি নিউক্লিয়াস দুবার বিভক্ত হয় অর্থাৎ ক্যারিওকাইনেসিস ২ বার ঘটে:তাই মিয়োসিস কে মিয়োসিস-১ & মিয়োসিস-২ তে বিভক্ত করা যায়।
!
★মিয়োসিস-১:
----------------------
১.প্রোফেজ-১
২.মেটাফেজ-১
৩.এনাফেজ-১
৪.টেলোফেজ-১
!
★প্রোফেজ-১ কে আবার ৫ ভাগে ভাগ করা যায় যথাঃ-
১.লেপ্টেটিন(চিকন সুতা):
*জলবিয়োজন ফলে ক্রোমোজোম মোটা & খাটো হয়।
*ক্রোমোজোমে ক্রোমোমিয়ার দেখা যায়।
*ক্রোমোজোমগুলো ফুলের তোড়ার মত দেখা যায় (একে bouque 'বুকে' বলে).
!
!
২.জাইগোটিন(জোড়া সুতা):-
*বাইভ্যালেন্ট সৃষ্টি হয়।
*সিনাপসিস ঘটে।
*ক্রোমোজোম এর অর্ধ্যেক সংখ্যক বাইভ্যালেন্ট সৃষ্টি হয়।
!
!
৩.প্যাকাইটিন(পুরু সুতা):-
*ক্রোমোজোমগুলো ট্রেট্রাড অবস্হাপ্রাপ্ত হয়।
*কায়াজমা সৃষ্টি হয়।
*ক্রসিংওভার সৃষ্টি হয়।
!
!
৪.ডিপ্লোটিন(ডাবল সুতা):-
*লুপ সৃষ্টি হয়।
*প্রান্তীয়করণ ঘটে।
!
!
৫.ডায়াকাইনেসিস(বিপরীত চলন):-
*ক্রোমোজোমগুলো আরো মোটা হয়।
*নিউক্লিওলাস & পর্দা বিলুপ্ত হয়।
!
!
★মেটাফেজ-১:-মাইটোসিস মেটাফেজ মতই তবে এখানে সেন্ট্রোমিয়ার বিভক্ত হয়না।
★এনাফেজ-১:-মাইটোসিস মতই।
★টেলোফেজ-১:-মাইটোসিস মতই।



No comments:

মানব শরীর তত্ব

Article:2 ভ্যাসেকটমি কী?ভ্যাসেকটমির পর কী হবে? এটা জানতে হলে প্রথমে একটু বেসিকটা জানতে হবে।কী বেসিক? দেখো নামটি হচ্ছে ভ্যাসেকটম...